নিয়াজ আজিজ দ্বীপের দুটি কবিতা

 

নিয়াজ আজিজ দ্বীপ

বিষুবলতা
আমার চোখের সমস্ত শূন্যতরল তুমি কি মুছে ফেলতে পারবে, তোমার অদৃশ্য ঘায়ে? আমাকে এতোটা কাছে টেনে আনতে পারবে— যেখানে কোনো সম্ভাবনা নেই, মৃত্যু নেই, আগুন নেই, শুধু দাগ— আমাদের জন্মান্তরের প্রতিষেধক: প্রেম-কাম-জৈবিকরেখা— আহত হাতছানি। যেই কণ্ঠের আর্তনাদকে আমরা বলবো সুখক্ষরণ— আনন্দ উৎপাদন ভূমি— অথবা নিবিষ্ট চাষাবাদ? এতো কাছাকাছি হয়ে কখনো কি আমরা আছড়ে পড়বো বারবার সমুদ্রের সফেদ ফেনায়? আমাদের হৃদয়ের কিনারায় কিনারায় উৎপাদন হবে ঢেউ। বিষুবলতা, পৃথিবীতে একবার দিন এবং রাত নামাতে ঈশ্বরকে কতোবার সঙ্গমে মেতে উঠতে হয় জানো? যদিও শুনেছি, ঈশ্বরের কোনো ঈশ্বরী নেই— মহাশূন্যতার যোনীপথে তবে শুধুই জন্মের স্ফটিক! শহুরে তুমি সূর্য ওঠেনি, তাই তোমাকে উঠানোর চেষ্টা করছি। তুমি বড়ই শহুরে, কুয়াশা বুঝো না, রোদ খুঁজো না। শুধু বৃষ্টি হলে জানলা দিয়ে বৃষ্টি ধরতে চাও, তোমার চাওয়াগুলো রেস্টুরেন্টে গিয়ে সময় কাটায়। কখনো বন্ধ ঘরে বন্দী হয়ে করতে চাও শীৎকার, তুমি বড় কংক্রিট মাধুর্য খুঁজে বলো, ‘আমার জীবনে উন্নয়ন নেই।’ আমি শুধু মাটির কথা বলি, বলি কৃষিভূমি, আর ঐ কৃষক পরিবারের মেয়েটার কথা, আধুনিক চাষাবাদ ছেড়ে যে তোমার মতো শহরে এলো, শিল্পকারখানায় যার ঘামের মূল্য বুলেটের দাগে আরো গভীর হলো। তুমি এসব বুঝো না, তুমি বড্ড শহুরে প্রেমিকা, ভালোবাসো দালান, ঘোড়া। ওদিকে আমার কেবল নদী শুকিয়ে খাল হয়ে যায়, যেভাবে তোমাকে দখল করে রোজ বড়লোকেরা খায়। আমি কিচ্ছু বলি না, শুধু কুয়াশা খুঁজি, পাইনা। এই শহরে কতো মানুষই তো কতো কিছু পায় না।

প্রিয় পাঠক,
ফেসবুক লগইনের মাধ্যমে এখানে আপনার মতামত জানাতে পারেন। এছাড়া খানিকটা নিচে জিমেইল লগইন করে, নাম বা ইউআরএল লিখে অথবা নামহীনভাবে মতামত জানাবার ব্যবস্থা রয়েছে।
ধন্যবাদান্তে,
সম্পাদক, ‘ৎ’ (খণ্ড-ত)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ