মো. রবিন ইসলাম
নৈঃশব্দ্যের প্রেম
তোমার নীরব ঠোঁটে জেগে থাকে বিষাদের ধ্বনি, যেন ধূসর কোনও দিনলিপি— জলে লেখা স্মৃতি।
অন্তরালে দহন, তবু মুখে আলোয় গাঁথা বাণী,
ভালোবাসা কি তবে ছলনা, না গভীর গোপন পুঁথি? চোখে চোখে যে কথা— তা ভাষা পায় না বলিতে,
তবু অন্তরে বাজে, নীরব অশ্রুতে অনুবাদ।
তুমি না হয় দূরে, আমি নিঃশব্দ কাব্যলিপিতে,
রচি যাই প্রেম, যেখানে বেদনায় জাগে সাধ।
রক্তাক্ত চশমা ও নীরবতার শ্বাস
ভোর হওয়ার আগে ছুরি গলায় ঝুলে থাকে
পলাতক সময় গিলে ফেলে খিদের বর্ণমালা
শিশুর হাসি এখন যুদ্ধের ব্যালট পেপার
বৃদ্ধা নারীর কাঁধে পাথরের প্রেমিক ঘুমায়।
চোখের ভেতর জ্বলছে নীরব নির্বাচনের স্লোগান
হাতের রেখায় লেখা বিষাদের ভোটার নম্বর
ঘুম থেকে উঠে আয়নার দিকে চেয়ে দেখে
চামড়ার নিচে লুকানো এক বিস্ফোরিত আত্মা।
দেয়ালের কান ফেটে রক্ত ঝরে—
কে যেন বলেছিল, কবিতা এখন রাষ্ট্রদ্রোহ!
রাতে ধরা পড়ে বৃষ্টির ভেতর
একাকী ছাতা হাতে শূন্যতা দাঁড়িয়ে আছে।
আমি আর শূন্যতা
আমি আর শূন্যতা—
একটানা বসে থাকি
ভেঙে পড়া ঘড়ির পাশে।
সময় এখানে থেমে গেছে নয়,
সে কখনো আসেইনি। চারপাশে নেই কিছুই—
না আলো, না শব্দ, না কোনো স্পর্শ।
যা আছে, তা শুধু হাওয়ায় ভেসে থাকা
অচেনা হাহাকার,
আর বুকের গহীনে জমে থাকা অতৃপ্তি। শূন্যতা চায় না কিছু—
সে চুপ থাকে, নিঃশ্বাস ফেলে,
আর আমার নিঃশ্বাসে মিশে যায়
অদৃশ্য জলের মতো। আমি আর শূন্যতা—
এক কল্পিত অস্তিত্বের দুই প্রান্তে দাঁড়িয়ে—
জানিই না কে আমি, কে সে,
শুধু বুঝি, আমরা একে অন্যের প্রতিবিম্ব।
নীরব পঙ্ক্তির ছায়া
নীরব সন্ধ্যার ধূলিমাখা পথে
চলে যায় এক কবি, স্বপ্নের ভারে।
কলম তার নিঃশব্দ, কাগজ থমকে,
তবু হৃদয়ে জ্বলে ভাষার তারা। আকাশে ঝুলে বিষণ্ন চাঁদ,
তার আলোয় জেগে ওঠে শব্দের সাধ।
নদীর ঢেউয়ে দোলে কবিতার ছায়া,
অক্ষরের দেহে বাঁধে প্রেমের মায়া। নিস্তব্ধ বইয়ের খোলা পাতাতে
প্রেম পায় ঠাঁই, দুঃখ গোপনে হাঁটে।
শব্দ নয় শুধু— অভিমান, অনুরাগ,
প্রতিটি ছন্দে জেগে থাকে অনুরণন-রাগ।
0 মন্তব্যসমূহ
প্রিয় সুহৃদ,
এখানে আপনার মতামত জানাতে পারেন।
এখানকার মন্তব্য প্রাথমিক অবস্থায় সার্ভারে অদৃশ্যভাবে জমা থাকবে। অ্যাডমিন প্যানেল থেকে অনুমোদন দেওয়ার পর তা দৃশ্যমান হবে।
ধন্যবাদান্তে,
তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ, ‘ৎ’ (খণ্ড-ত)