ইহিতা এরিনের তিনটি কবিতা

 

ইহিতা এরিন


খুনের শিল্পকলা

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলো
মানুষটি খুনী
গুণী মানুষের জন্য 
একগুচ্ছ রক্তগোলাপ
রেখে গেছে
একা
দলছুট ঈগল,
পাগল লোকটিকে বেকসুর খালাস দিলো
বাঁশের বাঁশি

কালা’র বাঁশি মন্ত্র জানে, তাকে থামাবেন না
পাগলই একমাত্র প্রাণী
যে মুক্তচিন্তক,
যে মানুষটিকে খুনী বলা হলো সেই-ই আদতে তথাকথিত পাগল ও গুণী

বাঁশি
        বাজাতে
                বাজাতে
লোকটি
পাগল এবং খুনী
হয়ে উঠলো
অতঃপর
বাঁশিটি হেঁটে গেলো
মর্গের দিকে

প্রমাণ করলো
বাঁশিটি মূলত
আমিই,
যে জীবন
বাজাচ্ছে
খুনের উৎসবে!


বিজন বাড়ির শূন্যতা

চাই না আমার দ্বারা এমন হোক...

গমগম বৃষ্টিঘণ্টা বেজে চলছে সময়ের আয়নায় 
শৈশবে ছুটির ঘণ্টা হতে চেয়েছিলাম, 
হতে চেয়েছিলাম হারু পাগলা
চাই না আমার দ্বারা এমন হোক!

মার্বেল আমার শিশুশ্রেণির বন্ধু,
বড় হতে হতে মার্বেল হারিয়েছি যেমন হারাই কিশোরীগন্ধের স্নান  

কাল না কালবেলা?
বিজন না ভাঁটফুল!

আয়নায় নিজেকে দেখি না
যদি আয়নাটা কাঁদে হারানো বিহানবেলায়!
যদি বিকেল ফুরোয় এবারের মতো জীবনে 
চাই না, আমার দ্বারা মহাশূন্যতা হারাক তার শূন্যতার মানে۔۔۔


স্ব-খুনীর আয়নায়

দশম আঙুলের কুঁচি খুলতেই ক্ল্যাসিক ঠোঁটের নাচবিদ্যা 
লালার সুতো মিশ্রিত পিনাটফুল ফোটায় শরীরী হাওয়াইবাজি!

কুয়াশা চুলের ঘ্রাণে প্রাকৃতিক মৌতাত- শীত ভাতের ওম
বিনামূল্যে বিক্রি হওয়া চিনেজোঁকের পাতাল গমন আঁকছে- তেরছা বেলেমাছ

কৃষ্ণের সঘন নিঃশ্বাসের বাঁশি-ক্লাস খুলছে আচমকা তরঙ্গ-উপতাপ
বরফের জিভে ডানা মেলছে হেমন্তের লাজুক কদম।

স্ব-খুনী মোমযুগলকে গ্রেফতার করতে পারেনি শতকিয়া নাৎসি বাহিনীর চোখ।
আমার খণ্ডাংশ লবঙ্গে মিশে রটাক সমুদ্রের রাত্রিকালীন নির্জন গন্ধ। 

দহনের স্মারক বৈঠা—অবিভাজ্য অস্তিত্বের অনন্ত কুসুম।

প্রিয় পাঠক,
ফেসবুক লগইনের মাধ্যমে এখানে আপনার মতামত জানাতে পারেন। এছাড়া খানিকটা নিচে জিমেইল লগইন করে, নাম বা ইউআরএল লিখে অথবা নামহীনভাবে মতামত জানাবার ব্যবস্থা রয়েছে।
ধন্যবাদান্তে,
সম্পাদক, ‘ৎ’ (খণ্ড-ত)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

প্রিয় সুহৃদ,
এখানে আপনার মতামত জানাতে পারেন।
এখানকার মন্তব্য প্রাথমিক অবস্থায় সার্ভারে অদৃশ্যভাবে জমা থাকবে। অ্যাডমিন প্যানেল থেকে অনুমোদন দেওয়ার পর তা দৃশ্যমান হবে।
ধন্যবাদান্তে,
তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ, ‘ৎ’ (খণ্ড-ত)