ইবনুল উসাইদের প্রেমের কবিতা

 
ইবনুল উসাইদ


এই শহরে কুয়াশা নেই

কুয়াশা ভীষণ সুন্দর না?
একটা চাদর যখন এসে ঢেকে দেয়
একটা ঠাণ্ডা-শীতল অনুভূতি।
আর একটা মৃদু পথচলা।
আপনাকে নিয়ে হাঁটবো বলে
কুয়াশার পিছে আজো আমি ছুটি।

অবশেষে প্রতীক্ষিত কুয়াশা এলো
কিন্তু আপনাকে নিয়ে হাঁটা হবে না
ওই নরম শিশিরভেজা ঘাসের উপরে।
ওই কুয়াশার ভেতর সিগারেটের মতো শ্বাস
পড়বে না আপনার চুলে।
এই কুয়াশাটাকে মিস করবো।
অনেক অনেক...

আপনি আমার খবর নিয়েন
আমি কুয়াশার কথা আজও ভাবি
ভেবে যেনো একটা ঘোরে থাকি
পুরনো স্মৃতিগুলো নাড়া দেয়
ভীষণভাবে!

শুধু আপনাকে নিয়েই কবিতা লিখি
শুধু আপনার কথাই মনে পড়ে।
আমাকে মুক্তি দিন আপনি!


একটা তুমি আর একটা সহজ স্বীকারোক্তি

তুমি কি জানো
আকাশের তারা কেন মিটিমিটি জ্বলে?
মিষ্টি আলো ছড়িয়ে দেয় নীলিমায়
সমস্ত আকাশের একটা রূপ
তোমাকে ছুঁয়ে যায়।

আমরা তো তারার ভাষা বুঝি না
মধ্যরাতে জাজ্জ্বল্যমান তারাটাও কি
তোমার কথাই ভাবে?
চাঁদটাও কি তোমার জন্যই
আলোকিত হয়?
শত শত তারার রাজি একসাথে মিলে
তোমায় মালা পরিয়ে দিতে চায়?

আমি কবি,
আমার কবিতায় তুমি,
কুয়াশার মতোই যেন রহস্যময়ী।
তুমি তাকে মৃদু হাসি উপহার দিও
কোমল চোখে তাকিও তো একবার।

আমি সত্য কবি।
তোমার চোখে চোখ রেখে
একটা জীবন অনায়াসেই
কাটিয়ে দেয়া যায়।


ফিনিক্স

কবি, আপনি কি ফিনিক্স পাখির গল্প শুনেছেন
কাল্পনিক সে পাখির কথা,
রূপকথার রাজ্যে যার বাস।

না, কখনো শুনিনি সে পাখির নাম,
সে কি প্রত্যহ শিস দেয়?
গান গেয়ে ডেকে উঠে?
আমার বাতায়ন-পাশে
সরু ডালটায় কি তার দেখা পাবো?
সে কি বিলাসীর খবর দিতে পারে
কুয়াশার আগমনী বার্তা আনতে পারে?
রক্তজবাদের খবর দিতে পারে?
সে কি প্রত্যহ প্রত্যুষে
একশোটা শুদ্ধ গোলাপের নিঃশ্বাস নেয়?

কবি, ফিনিক্স শুদ্ধতার বার্তা আনে।
প্রেমময় বার্তা আনে
সুন্দর নির্মল প্রণয়ের কথা বলে।
বিলাসীর নির্মল সুন্দর হাসির কথা বলে।
কৃষ্ণচূড়ার কথা বলে,
ভস্মস্তূপে খাঁটি হবার কথা বলে।

ভাবছি একটা গল্প লিখব
ফিনিক্স পাখির গল্প।


কবির উদাসীনতা

সে কবিতা ভালোবাসেনি
সে কবিকে ভালোবাসেনি
সে কবির কবিতাকে ভালোবাসেনি
সে কবিতার কবিকেও ভালোবাসেনি।


স্মৃতি হাসে 
খেয়ালি ক্যানভাসে

আকাশের মন ভালো নেই
এ বিষণ্নতা যেন প্রিয়তমার প্রতিরূপ।
বিদ্যুৎ চমকায়, বিকট শব্দে ডাকে
সে আসে ধীরে, তার চিরচেনা রূপে।

আমার প্রিয়তমার মনে আজ
ঘন কালো মেঘের ঘনঘটা।
আমার ব্যক্তিগত দুঃখরাও
দুঃখ দিয়ে যায়।

জানি, ময়ূরাক্ষীর তীরে আসবে না
আমি তীর ধরে হাঁটছি
মোহনার জলরাশির ছোট্ট দুঃখগুলো
দুঃখ নিয়ে ছুটে।
কিছু নিঃশব্দ কথারাও
কথা দিয়ে যায়।

ক্লান্ত পথিক পিপাসার্ত
পথ ভুলে পাড়ি দিয়েছে
আকাশ আর নদীর মোহনায়
একাকার হয়ে থাকা দুঃখগুলোর খোঁজে।

অতীতের স্মৃতি হাসে
তোমার খেয়ালি ক্যানভাসে।

প্রিয় পাঠক,
ফেসবুক লগইনের মাধ্যমে এখানে আপনার মতামত জানাতে পারেন। এছাড়া খানিকটা নিচে জিমেইল লগইন করে, নাম বা ইউআরএল লিখে অথবা নামহীনভাবে মতামত জানাবার ব্যবস্থা রয়েছে।
ধন্যবাদান্তে,
সম্পাদক, ‘ৎ’ (খণ্ড-ত)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

প্রিয় সুহৃদ,
এখানে আপনার মতামত জানাতে পারেন।
এখানকার মন্তব্য প্রাথমিক অবস্থায় সার্ভারে অদৃশ্যভাবে জমা থাকবে। অ্যাডমিন প্যানেল থেকে অনুমোদন দেওয়ার পর তা দৃশ্যমান হবে।
ধন্যবাদান্তে,
তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ, ‘ৎ’ (খণ্ড-ত)